গাইবান্ধা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)’র আওতাধীন কর্মকর্তা/কর্মচারীরা যারা শতভাগ পেনশন সমর্পন করেছেন তাদের পেনশন পুন:স্থাপনে সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রণালয়ের ওই নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারের সকল দপ্তরে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নীতিমালা বাস্তবায়ন না হওয়ায় গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন অবসর গ্রহণকারী ৫৬ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী চরম হতাশা এবং আর্থিক দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং ০৭০০০০০০.০৭১.১৩.১৪.১১৮ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শতভাগ পেনশন সম্পন্নকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলে তাদের পেনশন পুনঃস্থাপন করা হবে। সে অনুযায়ী কর্মচারীর এলপিআর বা পিআরএল যেদিন থেকে শেষ হয়েছে তার পরদিন থেকে ১৫ বছর সময় গণনা করা হবে। তবে যিনি এলপিআর বা পিআরএল ভোগ করেননি তার ক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের তারিখ হতে ১৫ বছর সময় গণনা করা হবে।
পেনশন পুনঃস্থাপিত হওয়ার পর তার মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে তার স্ত্রী/বিপতœীক স্বামী অথবা প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তিনি পুনঃস্থাপিত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। ইতোমধ্যে পেনশন পুনঃস্থাপিত না হওয়ার কারণে কেউ মারা গেলে তার স্ত্রী/প্রতিবন্ধী সন্তান পেনশনের কোন সুবিধা পাবেন না।
এসব শতভাগ পেনশনভোগী বৃদ্ধ ব্যক্তিদের বেশীর ভাগই অর্থ কষ্ট এবং নানা অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারের এ নীতিমালায় তারা আশান্বিত হয়ে উঠেছেন। বিগত ৯ মার্চ বিআরডিবির মহাপরিচালকের পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব বরাবরে স্মারক নং ৪৭.৬২.০০০০.২০৭.১৩.০৬০ .১৮.১৭৯৮ এর মাধ্যমে দেয়া এক পত্রে ১ম দফায় ওই সংস্থার ৫৭ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর পেনশন পুনঃস্থাপনের বিষয়টি অবহিত করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ৫৬ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা কার্যকর করা হচ্ছে না। ফলে সংশি¬ষ্ট অসহায় বৃদ্ধ কর্মকর্তা/কর্মচারী চরম দু:শ্চিন্তার মধ্যে এখন দিন কাটাচ্ছেন। তারা বা তাদের পক্ষে তাদের স্বজনরা বিভিন্ন দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে ছুটোছুটি করেও এর কোন সুরাহা করতে পারছেন না। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।