উখিয়া, কক্সবাজার, প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ইয়াবা,মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানে রোহিঙ্গারাই জড়িত।তাদের এসব অবৈধ কর্মকান্ডের পরিধি দিন-দিন বাড়ছে।খুচরা, মাঝারী স্তরের ব্যবসায়ী ছাড়াও উখিয়া-টেকনাফের ছোট-বড় ক্যাম্পে অন্তত ৩০ জনের অধিক চোরাচালানের গডফাদার রয়েছে।তাদের মধ্যে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯’র ব্লক-পি-৮, লালু মাঝির ব্লকের আশ্রিত রোহিঙ্গা বার্মা নুরুর ছেলে এনামুল হোসেন অন্যতম।লালু মাঝির ছত্রছায়ায় থেকে রোহিঙ্গা এনামুলের নেতৃত্ব উখিয়া-টেকনাফের পুরো ক্যাম্পে রয়েছে বিস্তৃত চোরাচালানী সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে ক্যাম্প ও মিয়ানমার সীমান্ত কেন্দ্রিক ইয়াবা, স্বর্ণ,তরল মাদক,চোরাচালানের পণ্য বিভিন্ন ক্যাম্পে সরবরাহ করে থাকে।এনামুলের এসব চোরাচালান সাম্রাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ সহজে আচঁড় লাগাতে পারেনি।তাই দ্ধিগুণ উৎসাহে তার চোরাচালান নিবির্ঘ্ন করতে হাতে রয়েছে আল ইয়াকিন নামের রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন।মিয়ানমার সীমান্ত থেকে এনামুলের ইয়াবা,স্বর্ণ,বিয়ার,কাপড়চোপড়,খা
এনামুলের সিন্ডিকেটে সশস্ত্র রোহিঙ্গা থাকায় কেউ সহজেই মুখ খোলেনা তার বিষয়ে।
সেই এনামুল হোসেন স্বর্ণ পাচার করতে গিয়ে গত ২ বছর পূর্বে উখিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল,এমন জনশ্রুতি আছে।এনামুলের ইয়াবা, স্বর্ণের বার সহ মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে চোরাই পথে আনা বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য সরবরাহ এবং বিক্রির দায়িত্বে রয়েছে কুতুপালং ক্যাম্প-৭’র আশ্রিত রোহিঙ্গা শীর্ষ চোরাকারবারি মো.আয়াজ।আর উক্ত চোরাচালান নিরাপদে পৌছিয়ে দিতে কুতুপালং ক্যাম্প-৭, রহিম উল্লাহ মাঝির বি-ব্লকে আস্রিত রোহিঙ্গা আল ইয়াকিনের সোহেল সশস্ত্র সদস্য নিয়ে ব্যবহার হয়ে থাকে। এনামুলের সরবরাহ করা স্বর্ণে বালুখালী পশ্চিম পাড়া রোডের স্বর্ণের দোকান গুলো বেঁচে আছে।এ ক্ষেত্রে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।পাশাপাশি কুতুপালং বাজার,বলি বাজার সংলগ্ন ক্যাম্পের ভিতরে,ময়নার ঘোনা,লম্বাশিয়া বাজারের স্বর্ণের দোকান গুলো অনায়াসেই এনামুলের স্বর্ণ সরবরাহে চলছে।
বালুখালী ক্যাম্পের পানবাজার পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরান হোসেন বলেন,খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হইবে।
এনামুলের চোরাই কারবার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী জরুরী মনে করছেন সচেতন মহল।