Monday , 16 September 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
বাজেট কোনো বিষয় না
--সংগৃহীত ছবি

বাজেট কোনো বিষয় না

অনলাইন ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগের প্রতাপশালী নেতা কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার আসামি। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণ চোরাকারবারের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন দিলীপ। হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক। ভোল পাল্টে এখন তিনি সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছেন বিএনপির সঙ্গে।

গোপন বৈঠকে দিলীপ কুমারকে বলতে শোনা যায়, ‘বাজেট কোনো বিষয় না। যত দরকার হয় দেওয়া যাবে। মামলার বিষয়গুলো দেখতে হবে।

সূত্র মতে, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দিলীপ কুমার বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক করে স্বর্ণ চোরাকারবারের বিশাল সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে চান।

জানা যায়, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সামান্য ঠিকাদার থেকে দুই দশকের ব্যবধানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়, হয়েছেন গোল্ড জগতের এক মাফিয়া। কাগজে-কলমে তাঁর বার্ষিক আয় চার কোটি টাকা হলেও সোনা ও নকল হীরা বিক্রি করে তিনি আয় করেন আরো কয়েক গুণ বেশি অর্থ। পাচার করা টাকায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় খুলেছেন একাধিক জুয়েলারি শোরুম।

এদিকে দিলীপ কুমার ও বিএনপি নেতা খোকনের সঙ্গে গোপন বৈঠকের আরো কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মী জুলকারনাইন সায়ের খান সামি। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার গোপনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের সঙ্গে ঢাকার গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে মিটিং করেছেন; সেখানে দিলীপ অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ রক্ষায় সহযোগিতা চেয়েছেন—এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি কালো টাকা অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি সম্পদ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পেলে তা যাচাই-বাছাই করা হবে। সত্যতা পেলে দুদক আইন অনুযায়ী তা আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply