অনলাইন ডেস্ক:
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ এবং ভারতের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়ের (এমইআইটি) মধ্যে দুটি বর্ধিত সমঝোতা চুক্তি করেছে ভারত-বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার নিজেদের সাইবার নিরাপত্তা সুরক্ষিত ও পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিকস (আইঅ্যান্ডই) ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বিষয়ে এই দুই চুক্তি নবায়ন করা হয়। চুক্তির মেয়াদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য বর্ধিত করা হয়। এর মেয়াদ গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
ভারতে চলমান রাইসিনা ডায়ালগের অংশগ্রহণকালে বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার মোহাম্মাদ ইমরান। অপরদিকে ভারতের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দেশটির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সচিব কে রাজা রমন।
চুক্তি অনুযায়ী, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশ এবং নিশ্ছিদ্র সাইবার সুরক্ষায় উভয় দেশ প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি সুপরিসর ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে বিদ্যমান চুক্তি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় দক্ষতা উন্নয়নেও দুই সার্ট একসঙ্গে নীতিমালা অনুযায়ী বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলো নিয়ে কাজ করবে। এ ছাড়া এই চুক্তির ফিনিশিং, ডিডস আক্রমণ এবং জালিয়াতির মতো ঘটনা আগেই রুখে দিতে যৌথ পর্যবেক্ষণ, গবেষণা এবং নিয়মিত সিকিউরিটি ড্রিল করা হবে।
চুক্তি বাস্তবায়নে বিজিডি ই-গভ. সার্টের ৪ জন এবং সার্ট ইন্ডিয়ার ৩ জনের সমন্বয়ে মোট সাত সদস্যের একটি ‘যৌথ কমিটি’ গঠন করার কথাও উল্লেখ আছে এই চুক্তিতে। এই কমিটি প্রয়োজনের নিরিখে একে অপরের অফিস ভিজিট করা ছাড়াও সভা-সেমিনার করে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক ও ভারতের কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রী শ্রী আশওয়ানী বিষ্ণুসহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী ভারতের কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজিমন্ত্রী শ্রী আশওয়ানী বিষ্ণুর সঙ্গে তার অফিসে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন