মার্কিন কংগ্রেসে শ্রমিক, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ এবং শিক্ষা সম্পর্কিত কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসওম্যান লুইস ফ্র্যাঙ্কেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা, এমনকি এই ফ্লোরিডা স্টেটের রাজনীতি, প্রশাসন, মানবাধিকার নিয়ে যে হরিবল অবস্থা চলছে, সেখানে যদি আমরা বাংলাদেশের সরকার কিংবা নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করি, সেটা কি ভণ্ডামি নয়?
গত বুধবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডার পামবিচে বাংলাদেশি আমেরিকানদের এক সমাবেশে বক্তব্যকালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই কংগ্রেসওম্যান আরো বলেন, ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং ১৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা রিফিউজিকে আশ্রয় প্রদান, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা জেনেছি বিস্তারিতভাবে। আমি ক্যাপিটল হিলে ফিরে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আবারও কথা বলব বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যাতে ব্যাহত না হয় তেমন যে কোনো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে।
কংগ্রেসওম্যান লুইস ফ্র্যাঙ্কেল বলেন, আমরা যারা ডেমোক্র্যাট তারা আমেরিকান মূল্যবোধে বিশ্বাস করি এবং সেভাবেই সবকিছু করার চেষ্টায় থাকি।
মার্কিন রাজনীতিক ও নীতিনির্ধারকদের ধন্যবাদ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জাতীয় এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্সে আজ অনেকেই সন্ত্রস্ত। কারণ, সেই অশুভ শক্তি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকলে।
এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারণার অন্যতম কারণ।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন লিটন খান, ওসমান অপু, রানা খান, শেখ বাবুল, সাজ্জাদুর রহমান, ইফতেখার চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম, মিম খান, জামি খান, আনোয়ার খান দ্বিপু, আনোয়ার হোসেন সেন্টু, মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
সৌজন্যে : বাংলাদেশ প্রতিদিন