অনলাইন ডেস্ক:
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম.গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ আমাদের সকলের। শনিবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এ শুভেচ্ছা জানান। বাণীতে তারা বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলতে চাই, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুরশক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়ে থাকে। আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপাচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরও সুসংহত করুক-এ কামনা করি। আমার প্রত্যাশা, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, যে কোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগরিত করে। সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। হিংসা-বিদ্বেষ, রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী ও সুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।