রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীতে বর্ষা শুরুর আগেই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে ৭নং ফেরীঘাটের ছাত্তার মেম্বারের পাড়া সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ২০০টি পরিবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ,বার বার প্রশাসনের কাছে মাটি খেকুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে প্রশাসনের দাবী তারা কোন অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন যাবত নদী শাসনের চেষ্টা করলেও বার বার নকশা সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত নদী শাসনের কাজ শুরু করতে পারেনি। তাই প্রতি বছর বর্ষায় পদ্মা নদীর ভাঙন ঠেকাতে নদীতে ফেলা হয় জিও ব্যাগ।
অন্য দিকে,সেই নদীর কোল ঘেঁষেই মাটি কেটে বিক্রি করেছে প্রভাবশালী একটি মহল। শুকনো মৌসুম থেকে শুরু করে বর্ষা আসার আগ পর্যন্ত মাটি খেকুদের চলে মাটি বিক্রয়ের মহোউৎসব। ১ থেকে ২টি ভেকু ও ২৫ থেকে ৩০টি ড্রাম ট্রাক দিয়ে দিবা-রাত্রি ২৪ ঘন্টা চলে এই মাটি বিক্রয়। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত গাড়ি মাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যায়। প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ শত টাকায়। তাতে লাখ টাকার মাটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন। যার ফলে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরীঘাট সহ আশ-পাশের এলাকায় বর্ষা শুরুর আগেই দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান,পদ্মা নদীর আগ্রাসী ভাঙনে আমরা সর্বহারা। তার উপরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে নির্বিচারে মাটি কেটে বিক্রি করছে। তাতে নদী ভাঙন প্রবণতা বেড়েছে কয়েকগুন। এদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হলেও, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তিনি বলেন,যদি কেউ অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ যেন সরিষার মধ্যেই ভুত। একদিনে জিও ব্যাগ দিয়ে নদীর ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এটা দেখেও না দেখার ভান করছে প্রশাসন। লোক মুখে গুঞ্জন রয়েছে এই মাটি বিক্রির টাকার ভাগ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে অনেকের পকেটে যায়।