বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনায় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে জণগনের গণশুনানী ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সদস্য বীর মুক্তি যোদ্ধা আব্দুল বারেক মুন্সী এর সভাপতিত্বে কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় । গতকাল বেলা ১১টায় কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সদস্য আবুল কালাম। অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান নসা, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো: বাবুল আক্তারসহ ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন নারী ও পুরুষ সদস্য, বিভিন্ন ওয়াডের জনগন, স্কুল ছাত্র/ শিক্ষত, গুচ্ছগ্রাম প্রতিনিধি, জেলে, কুলি, মুচি, প্রতিবন্ধী, ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সদস্য যুব ফোরাম সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ৯৫ জন (নারী ৩৫ পূরুষ ৬০) মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানীতে অংশগ্রহনকারী প্রতিনিধিগন সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তাগনের নিকট চলতি অর্থ বছরের পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতের বরাদ্দ, বাস্তবায়ন, প্রান্তিক জনগৌষ্ঠির সুপেয় পানি নিশ্চিত, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির স্যানিটেশন কভারেজের জন্য আলাদা/বিশেষ বরাদ্দ রাখা, ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপির ১৫% বাজেট স্যানিটেশনে খরচ হয় কিনা, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে কোন বরাদ্দ আছে কিনা, থাকলে কত টাকা রেখেছেন? চলতি অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কতগুলো টয়লেট এবং টিউবয়েল বিতরণ করা হয়েছে, প্রান্তিক জনগৌষ্ঠির সুপেয় পানি প্রাপ্তি নিশ্চিতে ডিপিএইচইর পুকুর খননসহ পিএসএফ/ওয়াটার টিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? প্রতিবন্ধী বান্ধব টয়লেট স্থাপনের কোন ব্যবস্থা আছে কিনা? গ্রচ্ছগ্রামের মানুষের সুপেয় পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে কিনা? স্কুলে স্যানেটারি ন্যাপকি বিতরন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিতের জন্য কোন পরিকল্পনা আছে কিনা?
ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ঘাটতি বাজেট পূরনে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে জবাবে কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন চলতি অর্থ বছরে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যেটা পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দ খুব বেশী নয়। আমরা চলতি বছরের ১ম ছয় মাসে এলজিএসপি, এডিপির বরাদ্ধ থেকে ১৭টি গভীর নলক’প স্থাপন করেছি যার আনুমানিক মূল্য ১৮ লাখ টাকা। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট বিতরনের জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থ বছরের বাকী সময়গুলোতে আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির টয়লেট বিতরণের ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা তৈরী করে বিতরন করবো, বিদ্যালয়গুলিতে মেয়েদের জন্য ন্যাপকিন বিতরন করবো, হাট বাজারের নষ্ট টয়লেটসহ মেরামত/ স্থাপন করবো।