বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় শহরে ফের প্রাইভেট ক্লিনিকে জরায়ূর টিউমার অপারেশনে বিউটি বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। শহরের কলেজ রোড মর্ডান সেন্টাল হসপিটাল লি:, ক্লিনিকে ওই গৃহবধূকে জরায়ূর অপারেশনের জন্য অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে অজ্ঞান করা হয়। পরে অপারেশনের পর ওটিতেই তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রায়ই ভুল চিকিৎসা ও ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায় না।
মৃত্যু গৃহবধূর স্বজন ও ক্লিনিকে সূত্রে জানাগেছে, শহরের চরকলোনী এলাকার বাসিন্দা মৃত জাকির হোসেনের স্ত্রী বিউটি বেগম (৫০) । তাকে বুধবার দুপুরে মর্ডান সেন্টাল হসপিটাল লি:, প্রাইভেট ক্লিনিকে জরায়ূর অপারেশনের জন্য ভর্তি করা হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই গৃহবধূর জরায়ূর অপারেশন করে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা.হুমায়ুন শাহীন খান।
এর পূর্বে অপারেশনের জন্য ওটিতে ওই গৃহবধূকে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে ডা.খায়রুল ইসলাম। অপারেশনের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তার জ্ঞান ফিরে না আসায় সিভিল সার্জনই তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে ও লাইভে ছড়িয়ে পড়লে মর্ডান সেন্টাল হসপিটাল লি:, ক্লিনিকে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে ওই গৃহবধূর লাশ মর্গে পাঠায়।
মৃত্যু গৃহবধূ বিউটি বেগমের পুত্র নাঈম প্রতিবেদকে জানান, আমার আম্মার জরায়ূর টিউমার ছাড়া অন্যকোন রোগ ছিল না । তবে এর পূর্বে অনেক আগে বরিশালে ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। তখন অপারেশনের প্রয়োজন হয়নি। তার কোন হার্ডের রোগ ছিল না। পুলিশ লাশ মর্গে পাঠালেও আমাদের আপত্তির কারণে পোষ্ট মর্টেম হয়নি।
কোন প্রক্রিয়ায় ওই গৃহবধূকে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়েছে এমন প্রশ্নে প্রয়োগকারী ডা.খায়রুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ বিউটি বেগমকে পিঠের পিছনে লাম্বার ২-৩ লেভেলে অ্যানেসথেসিয়া ইনজেকশোন প্রয়োগ করা হয়। ইনজেকশোন প্রয়োগ মূহূর্তে ঔই রোগীর অন্য কোন রোগ আমাদের কাছে ধরা পড়েনি।
সিভিল সার্জন ডা.হুমায়ুন শাহীন খান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরায়ূর কেটে ফেলার জন্য ওই গৃহবধূর অপারেশন করা হয়। অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ এর ফলে তার শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয় এবং রোগীর মৃত্যূ হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধূর স্বজনেরা কোন অভিযোগ না করায় এখনো পর্যন্ত থানায় এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।