বরগুনা প্রতিনিধি ঃ
বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭ নং সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা ও তার ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহাারভূক্ত তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় বেতাগী থানায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। এছাড়াও এ মামলায় ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ঔই ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফকে প্রধান আসামি করে তার তিন ছেলেসহ ১৪ জন ও অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আহত চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন এর শ্বশুর রফিকুল ইসলাম মন্টু বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
বেতাগী থানা থেকে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুঠোফোনে জানাগেছে , (২৪-১১-২০) এ মামলার এজাহাারভূক্ত তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭ নং সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারকে (২০ নভেম্বর ২০২০) দুপুরে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে কতিপয় সন্ত্রাসীরা। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফের পূত্র জাফর শরীফের নেতৃত্বে শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে । চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কালিকাবাড়ি গ্রামে মটর সাইকেল যোগে বিয়ের অনুষ্ঠানে মধ্যাহ্ন ভোজো অংশ নেয় । বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে ফেরার পথে একদল দুষ্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। পরে তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে প্রাথমকি চিকিৎসা প্রদান করে। অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর আহত অবস্থায় শুক্রবার (২০-১১-২০) বিকেলে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয় । সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঔই দিন বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন (পিপিএম বিপিএম) বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আহত চেয়ারম্যান শিপনকে জেমাদ্দারকে দেখতে আসেন। এ সময় সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ হামলাকারিদের বিচারের দাবীতে বরগুনা শহরের অলিগলি ও হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে। বর্তমানে কয়েক দিন যাবত বরগুনায় এ ঘটনার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত আছে।