বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনায় জোরপূর্বক দোকান ঘর দখলে নেওয়ার অভিযোগে ও এ ঘটনার বিচার দাবি করে রবিবার (২৫ জুন) দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী দোকানী জাফর হোসেন ও জমি বিক্রেতা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম গোলাম রসুল।
সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিক জাফর হোসেন অভিযোগ করেন, আমি সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ চৌমুহনী নতুুন বাজারে পাঁচ বছর আগে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গোলাম রসুল ও মুস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জমি ক্রয় করি। তার তিন বছর পর সেখানে একটি টিনসেড বিল্ডিং করি। বুধবার সন্ধ্যায় আমি দোকানের বাইরে থাকাকালে স্থানীয় প্রভাবশালী বাবুল আকন,নূর মিয়া হারুন অর রশিদ ও দুলাল সহ ১০/১২ জন লোক এসে আমার মিস্ত্রির কাজ বন্ধ করে তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর তাকে মারধর করে বের করে দিয়ে দোকানের মালামাল ভেঙে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে বরগুনা সদর থানার পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে দোকান থেকে বের করে চাবি নিয়ে দোকানটি তালাবদ্ধ করে স্থানীয় চৌকিদারের কাছে চাবি রেখে যায়। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে জমি বিক্রেতা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম গোলাম রসুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাঁচ বছর আগে আমরা ওই জমি দোকান মালিক জাফর হোসেনের কাছে বিক্রি করেছি। তিন বছর যাবত তিনি সেখানে স্যানিটারি ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ করে বাবুল, হারুন ও দুলালরা লোকজন নিয়ে এসে সন্ত্রাসী হামলা করে। তারা তাদের কালো টাকা ও প্রভাবে ভূমি দস্যুরা এ অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । এর সঠিক বিচার হওয়া উচিত।
এর আগে বুধবার (২১জুন) সন্ধ্যায় বরগুনার সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ চৌমুহনী নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জোরপূর্বক কোন দোকান দখল করিনি। কোন প্রভাবও খাটাইনি। ওই জমি আমাদের তাই সেখানে গিয়েছি এবং এ নিয়ে আমরা আদালতে মামলাও করেছি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সহিংসতার শঙ্কায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উভয়পক্ষকে দোকান থেকে সড়িয়ে দিয়ে চাবি নিয়েছে। কাউকে জোরপূর্বক দখলে সাহায্য করেনি।