জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তিপূর্ণ একটি দেশ, অঞ্চল এবং বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে বঙ্গবন্ধু যেমন শান্তিপূর্ণ একটি দেশ, অঞ্চল এবং বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন, আমরা তেমন একটি শান্তিপূর্ণ দেশ, অঞ্চল এবং বিশ্ব তৈরি করব। তার জন্য দেশে ও দেশের বাইরের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও-কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তিতে ‘বিশ্বশান্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
বক্তারা বলেন, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের তিনি যে মৌলিক ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন তা সারা পৃথিবীর শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে এক অনন্য সম্পদে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’, যা আজকের দিনেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যা করে এ দেশে অশান্তির বীজ বপন করা হয়েছে।
এখনো দেশের ভেতর একটি মহল সর্বদা অশান্তি সৃষ্টি করার ক্লান্তিহীনভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী ঠেকিয়ে যাচ্ছেন। এখন তাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এ ছাড়া আলোচনায় আরো অংশ নেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ুয়া, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাছিম আখতার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক অহিদুজ্জামান চাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম কুমার সরকার ও জেষ্ঠ্য সাংবাদিক শহীদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।