অনলাইন ডেস্ক:
দেশের সকল জেলা, উপজেলা কমপ্লেক্সসহ সবখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর যত ম্যুরাল ও ভাস্কর্য্য ছিল, তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োগসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এসময় রিট আবেদনকারীপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গতবছর ৭ ডিসেম্বর এক আদেশে দেশের সকল জেলা, উপজেলা কমপ্লেক্সসহ যেখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে বা নির্মানাধীন রয়েছে তার নিরাপত্তায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। এ নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া পদক্ষেপ জানানো হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষন ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ওই দিনটি জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ড. বশির আহমেদ। এ রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর রুল জারি করেন। রুলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষন দিয়েছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পন করেছিলেন এবং স্বাধীনতার পরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছিল সেই মঞ্চ কেন পুননির্মাণ, বঙ্গবন্ধুর আঙ্গুল উচানো ভাস্কর্য্য স্থাপন ও ৭ মার্চ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ১৯৭১ সালের ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে।