বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথেই নিরলস কাজ করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি আসে না, একমাত্র স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমেই টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পেয়েছি, যা পৃথিবীর বুকে আমাদের জাতি হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছে। জাতির পিতা তার সারা জীবন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। মানুষের মুক্তির জন্য, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর শান্তির দর্শনের অন্যতম উপাদান ছিল যুদ্ধ পরিহার করে যেকোনো বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সকল প্রকার বঞ্চনা ও শোষণ দূর করার মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ।
রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে বিশ্বশান্তির পক্ষে নিরলস কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করেছেন। ১০ লাখের অধিক নির্যাতিত বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করেছেন, যার জন্য তিনি মাদার অব হিউম্যানিটিতে ভূষিত হয়েছেন।
দেশে দারিদ্র্যের হার কমানো, শিশু মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে জাতিসংঘের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল জাতির মধ্যে টেকসই শান্তি ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার মানসিকতা তৈরি করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
এ ছাড়া বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অবদান রেখে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন রিয়াদস্থ আওয়ামী পরিষদের সভাপতি এম আর মাহাবুব। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।