অনলাইন ডেস্কঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যেসব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, সেসব আইনে পরবর্তী সময়ে যত সংশোধনীই আসুক, মূল আইনের সাল পরিবর্তন করা যাবে না।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এ বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
‘এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘মন্ত্রিসভা মনে করে যে ভবিষ্যতে যারা গবেষণা বা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করবে, তারা আইনগুলো দেখলেই বুঝতে পারবে শুরুর সময় রাষ্ট্রের কাঠামোটা কিভাবে গড়ে উঠেছে। রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা কেমন ছিল, তা বোঝার জন্য আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বছরগুলো থাকা দরকার। আইনের সঙ্গে থাকা বছরগুলো হারিয়ে গেলে সেটা বোঝা যাবে না।’
এইচএসসি, অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা জেএসসি-জেডিসি এবং পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা পিইসির মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘এইচএসসি ও অন্যান্য পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনা করেছে। তারা দেখবে, দেখে কুইকলি একটা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে স্কুল, কলেজ এখনো খোলার মতো সময় এসেছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। পরীক্ষার বিষয়ে তারা (মন্ত্রণালয়) খুব স্ট্রংলি চিন্তাভাবনা করছে, কিভাবে কী করা যায়।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কওমি মাদরাসার পরীক্ষাগুলো নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকালের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন অর্ডার (সংশোধন)-১৯৭৩’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন, ‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন-২০২০’ এবং ‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি-২০২০’-এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আইভি রহমানের অবদান রয়েছে’:
বাসস জানায়, দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁর ১৬তম শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আইভি রহমান দেশের প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের ওই ২২ নেতাকর্মী বিশেষত আইভি রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাঁদের স্মরণ করছি, যাঁরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আইভি রহমান আওয়ামী লীগের প্রতিটি সভা-সমাবেশে সাধারণ কর্মীদের সঙ্গেই বসতেন। তাঁর মতো এমন একজন চমৎকার নিরহংকারী মানুষের মৃত্যুকে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।’