অনলাইন ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই একটি আদর্শ, একটি দর্শন। তিনি চিরঞ্জীব। তার আদর্শ ধারণে করতে পারলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
আজ বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপিসহ সংসদ সদস্যবৃন্দ ও সংসদ সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও অদম্য সাহসী রাজনীতিবিদ। যিনি একাধারে বিশ্বমানবতার প্রতীক এবং মুক্তিকামী মানুষের নেতা। তিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ, বিজয় পতাকা ও পরিপূর্ণ দলিল হিসেবে বাহাত্তরের সংবিধান দিয়েছেন। রাজনীতিবিদসহ সকলের বঙ্গবন্ধুর গুণাবলী আত্মস্থ করা ও আত্নবিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। ‘
তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর গুণাবলী অনুসরণ করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উত্তরণের জন্য মনোনিবেশ করেন। দেশ গঠনের এই কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ‘
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক মো. তারিক মাহমুদের সঞ্চালনায় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের উজ্জল, জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটি ২০২২ এর সদস্য সচিব আসিফ হাসান, কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার এবং আয়োজক কমিটির আহবায়ক এস, এম, মঞ্জুর বক্তৃতা করেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন