চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারে র্যাম্পের পিলারে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে কি-না, এ ব্যাপারে এক তদন্ত কমিটি গঠন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
গতকার বুধবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যেয় নগরীর টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের মেয়র কার্যালয়ে এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রকৌশলীদের নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ‘ফাটল হওয়ার’ বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কমিটির সদস্য কারা হবেন, সে বিষয়ে জানাতে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) চুয়েট ও সওজ এর কাছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠাবে।
প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন বলেন, ফ্লাইওভারটির র্যাম্পের পিলারে ফাটল হওয়া ও না হওয়া নিয়ে একাধিক ভিন্নমত এসেছে। তাই নিরপেক্ষভাবে যাচাই করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে র্যাম্পটির নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালটেন্টস লিমিটেডের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাটলের মতো যেসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, তা মূলত কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট। আর সাটারিংয়ের জন্য দেওয়া ফোম বের হয়ে গেছে। অধিকতর নিশ্চিত হতে কারিগরি পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে ক্র্যাক হওয়া স্থানটি কেটে পিলারের ভেতরে কোনও ক্ষতি হয়েছে কি-না তাও দেখা হবে।
ডিপিএমের এমডি প্রকৌশলী এম এ সোবহান জানান, র্যাম্পটির পিলারসহ বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করা মনে হয়েছে, সেখানে কোনও ফাটল নেই। এবং এটি একটি গুজব বলে ধারনা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এক দশমিক ৩৩ কিলোমিটারের ফ্লাইওভারটি নির্মাণকালে ২০১২ সালের নভেম্বরে গার্ডার ধসে ১৬ জন নিহত হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৩২৬ মিটার দৈর্ঘ ও ৬ দশমিক ৭ মিটার প্রশস্ত র্যাম্পটি গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চসিকের।