ফ্রান্সের মাসব্যাপী (সঁ পাপিয়েঃ/Sans-papiers) অনিয়মিতদের নিয়মিতকরনের আন্দোলন সাথে নয়ন এনকে যিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফরাসী
ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ শহর মার্শেই থেকে শুরু হলো মাসব্যাপী (সঁ পাপিয়েঃ/Sans-papiers) অনিয়মিতদের নিয়মিতকরনের আন্দোলন।।
ফ্রান্সের মার্শেই শহর থেকে প্যারিস অভিমূখে পদব্রজে হেটে আসার মাধ্যমে শুরু হলো অনিয়মিতদের নিয়মিত করনের আন্দোলন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী এ আন্দোলনের সূচনা করা হয়।
গত মে মে মাস থেকে ফ্রান্সে বসবাসরত অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিতকরণের দাবীতে আন্দোলন চলছে। চলমান আন্দোলনের এ পর্যায়ে ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে লংমার্চের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মাসব্যাপী এই লংমার্চের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নিতে প্যারিস থেকে একটি দল ১৭ সেপ্টেম্বর মার্শেই এর উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়।
উল্লেখ্য যে, ১৯ সেপ্টেম্বর কাগজহীন অভিবাসীদের নিয়মিতকরনের দাবিতে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর থেকে পদব্রজে প্যারিসে পৌঁছাবে এবং ১৭ অক্টোবর প্যারিসে এসে পৌঁছাবে। ঐদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর বাসভবন ‘এলিজে প্রাসাদের’ সামনে সমাবেশের মাধ্যমে মাসব্যাপী আন্দোলনের সমাপ্তি হবে।
এই আন্দোলন কেবল কাগজহীনদের কাগজ দেয়া নয়, সবার জন্য বাসস্থান, অনিয়মিতদের পুলিশ ধরে নিয়ে যে সেন্টারে রাখা হয় সেই সেন্টারগুলো বন্ধ করারও জোড়ালো দাবি তোলা হয়।
এই আন্দোলনে প্রায় ২০০ টি সংগঠন অংশ নেয় এবং দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।
আন্দোলনটি Marseille এবং Montpellier থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহর থেকেও প্যারিস অভিমূখে পদব্রজে যাত্রা শুরু হবে।
এই আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে চলেছেন নয়ন এনকে যিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফরাসী। তিনি এই আন্দোলনে এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি মার্শেই তে মাসব্যাপী আন্দোলনের উদ্বোধনী পর্বে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
ফ্রান্সে অনিয়মিতদের নিয়মিত করার চলমান আন্দোলনের একেবারে পূরোভাগে পৌঁছে গেছেন আমাদের নয়ন এনকে
জন্ম তার বাংলাদেশে , ছোটবেলায় পরিবারের সাথে ফ্রান্সে আসেন, উচ্চতর পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে ফ্রান্সের একটা বিশ্ববিদ্যায়লয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। দায়িত্বশীল নয়ন আন্দোলনে যোগদানের জন্য প্যারিস থেকে মার্সেই ছুটে যান
চলমান আন্দোলনে নয়ন এনকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছে বাংলাদেশীদের হয়ে। সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকা সত্বেও আকাশ হেলালও এই আন্দোলনে প্রকাশ্যেই আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়েছেন। লাইভে এসে কথা বলেছে, বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টেও তার ‘অনিয়মিতদের নিয়মিতকরনের দাবীকে সমর্থন জানিয়ে গেছেন। এরপর সময়ে সময়ে আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নয়ন অন্যতম একজন হয়ে ওঠে। বাংলাদেশীদের কাছে বিভিন্ন সময়ে লাইভে এসে আন্দোলনের নানা তথ্য/আপডেট দিতে থাকেন লাইভে এসে। এভাবে নয়ন তার ওপর অর্পিত দায়িত্বটি পালন করেন নির্ভরতার সাথে।
করোনা মহামারীতে অনেক অভিবাসী নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন, ফ্রান্সের অর্থনৈতিক চাকা কে সচল রাখতে তারা ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ বিবেচনায় তাদেকে কাগজ দেয়া হোক। আমরা ফ্রান্সে অবস্থানরত সকল অনিয়মিত – কাগজপত্র হীন অভিবাসীদের দাবির প্রতি একতা ও সংহতি প্রকাশ করছি।