আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত ৯ দিনে ইসরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া সেখানকার প্রায় ৪৫০টি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয় সম্পর্ক বিভাগ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থার মুখপাত্র জেনস লার্ক জানান, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত ৫৮টি স্কুলে প্রায় ৪৭ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ১৩২টি ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৩১৬টি ভবনের ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি। এসব ভবনের মধ্যে ছয়টি হাসপাতাল ও ৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। ইসরায়েলি দখলদারদের একের পর এক রকেট হামলায় এখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও পানির। কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে মানবিক তহবিলের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এক টুইটে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানকার বাড়িঘর ও জরুরি স্থাপনাগুলো তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত দ্রুত মানবিক তহবিল গঠন করে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার অবস্থা এখন করুণ। সেখানে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এমতাবস্থায় তাদের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা ও দেশ। সে জন্য সীমান্তও খুলে দেয় ইসরায়েল। কিন্তু হামাসের রকেট হামলার কারণে সীমান্ত আবার বন্ধ করে দিয়েছে তারা। ফলে অঞ্চলটিতে ত্রাণবাহী ট্রাক আর ঢুকতে পারছে না।
গাজা উপত্যকায় দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বর্বর গোলাবর্ষণ ও রকেট হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ২২০ জন ফিলিস্তিনির। নিহতদের মধ্যে শিশু আছে ৬৩ জন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় হাজার। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর রকেট হামলায় অসংখ্য নিহতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। যার কারণে সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ টেস্ট। এতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র : আলজাজিরা।