অনলাইন ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমাদের পুলিশ কোনোদিন প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢোকে না। কিন্তু গতকাল যেভাবে ইটপাটকেল ছুঁড়ছিল তখন দু-একজন হয়তো ঢুকেছে। সাধারণত পুলিশ ঢুকে না। যেভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মারামারির সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে উচিত ছিল মারামারি না করা। চরম ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে মিরপুর-১৪ পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে যেন বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে। সেখানে পরিস্থিতি অতিমাত্রায় চলে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ছুড়েছে পুলিশ। এটা একটা কৌশল।
তিনি বলেন, সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে ও উন্নয়ন নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখার নিয়ামক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ বাহিনী শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেন না, জঙ্গি নির্মূলেও পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গি উত্থানের সময় পুলিশকে আহত করার চিত্রও আমরা রাজশাহীতে এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে দেখেছি। গতকালও আমরা দেখলাম প্রেস ক্লাবে। একা একজন পুলিশকে পেয়ে কিভাবে পেটানো শুরু হয়েছিল তা আপনারা দেখেছেন। প্রেস ক্লাবে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ।
মন্ত্রী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য মারা যাচ্ছেন। ২০২০ সালে বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন পদের ৪৫৭ জন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ২০৮ জন কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি নিহত ও মৃত্যুবরণকারী শোকসন্তপ্ত পুলিশ সদস্য পরিবারের প্রতি শোক-সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতা কর্মনিষ্ঠা এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার মত চরম ত্যাগে দায়িত্ব পালনে যে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন, সেজন্য পুলিশ বাহিনীসহ সারা দেশবাসী আমরা গর্বিত। পুলিশ বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রযাত্রায় প্রথম দরকার আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেটা পুলিশ সঠিকভাবেই করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।