বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
প্রতারকের খপ্পরে পড়ে নিজের শেষ সম্বল পৈতৃক ভিটেটুকু মাত্র ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করে সবজি বিক্রেতা মোঃ কুদ্দুস শেখ। স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজের একটি বাড়ির। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে তার সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে কুদ্দুস শেখ নিজ জেলা রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চলে আসেন মাত্র ২৬ বছর বয়সে। জীবিকার তাগিদে প্রথমে অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও এখন সবজির ব্যবসা আবার কখনও জামাই পিঠা বিক্রয় করে কোন রকমের দুই বেলা পেটের ভাত যোগান দিচ্ছে। নিজের কোন বাড়ি নেই, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় কখনও কেটেছে পরের ঘরের বারান্দায়, কখনও স্কুলঘরে, এখন বোয়ালমারী সরকারি কলেজ রোডে অন্যের জমির উপর একটি ছাপড়াঘরে মাসিক ৩শত টাকায় ভাড়া থাকে ঘরহীন ভূমিহীন এই পরিবার। নিজস্ব একটু মাথা গুজার ঠাঁই পেতে অনেকদিন চেষ্টা করেও সাধ্যের মধ্যে জমি কিনতে পারেনি। অবশেষে একটু আশার আলো দেখেছিল, তা যে মরীচিকা তা বুঝে উঠতে পারেনি আ. কুদ্দুস।
বোয়ালমারী ইউনিয়নের চালিনগর গ্রামের জলিলুদ্দীন মাতুব্বরের ছেলে প্রতারক জাকির হোসেন বছর দেড়েক আগে স্বপ্ন দেখিয়েছিল তার নিজের একটি জমি হবে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করবে। কিন্তু তাকে বিশ্বাস করে নিজের পৈতৃক ভিটেটি মাত্র ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা তুলে দিয়েছিল প্রতারক জাকিরের হাতে। কথা ছিল ৫ শতক জমি দিবে জাকির। ইচ্ছে ছিল সে জায়গায় একটি ঘর করে শান্তিতে বসবাস করবেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। জমি কিনে দেয়ার কথা বলে ওই টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক জাকির হোসেন । বর্তমানে সবজি ও পিঠা বিক্রি করে ভাড়া বাসায় থেকে দু’বেলা দুমুঠো খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন তিনি।
ওই পঞ্চাশোর্ধ কুদ্দুস শেখ (৬১) স্ত্রী ছটু বেগম এবং দশ বছরের এক পুত্র সন্তান নিয়ে কুদ্দুসের অভাবী সংসার। সবজি বিক্রি করে চলছে অভাব মেটানোর যুদ্ধ। এ ব্যবসায় স্ত্রী ছটু বেগমও তাকে সাহায্য করেন। বয়সের কাছে হার মেনে কুদ্দুস শেখ ক্রমশঃই শক্তিহীন হয়ে পড়ছেন। আর বিবর্ণ হয়ে পড়ছে তার দেখা স্বপ্ন। সবজি বিক্রি করে কোন রকমে কষ্টে সংসারের ঘানি টেনে নিলেও শেষ জীবনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে একটু নিরাপদে নিশ্চিন্তে থাকার আশ্রয় সুদূর পরাহত।
কান্না জড়িত কন্ঠে কুদ্দুস বলেন, “রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার শালিমারি গ্রামে বাবার একটুখানি জমি ছিলো। সেটা বিক্রি করে ২১ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করতে বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়ের চালিনগর গ্রামের জাকির হোসেনকে ওই টাকা দেই। তিনি আমাকে টাকাও দিচ্ছেন না, জমিও কিনে দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে নানা টালবাহানা করে সে।
প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কুদ্দুস শেখ তার শেষ সম্বল হারিয়েছেন। এক টুকরো নিজস্ব জমিতে তিনি তার স্বপ্নের বাড়ি করে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা করতে পারবেন কি-না তা একমাত্র সময়ই বলতে পারে। শেষ সম্বল পৈতৃক ভিটেটুকু মাত্র ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করে সবজি বিক্রেতা মোঃকুদ্দুস শেখ। স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজের একটি বাড়ির। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে তার সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।
ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে কুদ্দুস শেখ নিজ জেলা রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চলে আসেন মাত্র ২৬ বছর বয়সে। জীবিকার তাগিদে প্রথমে অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও এখন সবজির ব্যবসা আবার কখনও জামাই পিঠা বিক্রয় করে কোন রকমের দুই বেলা পেটের ভাত যোগান দিচ্ছে। নিজের কোন বাড়ি নেই, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় কখনও কেটেছে পরের ঘরের বারান্দায়, কখনও স্কুলঘরে, এখন বোয়ালমারী সরকারি কলেজ রোডে অন্যের জমির উপর একটি ছাপড়াঘরে মাসিক ৩শত টাকায় ভাড়া থাকে ঘরহীন ভূমিহীন এই পরিবার। নিজস্ব একটু মাথা গুজার ঠাঁই পেতে অনেকদিন চেষ্টা করেও সাধ্যের মধ্যে জমি কিনতে পারেনি। অবশেষে একটু আশার আলো দেখেছিল, তা যে মরীচিকা তা বুঝে উঠতে পারেনি আ. কুদ্দুস।
বোয়ালমারী ইউনিয়নের চালিনগর গ্রামের জলিলুদ্দীন মাতুব্বরের ছেলে প্রতারক জাকির হোসেন বছর দেড়েক আগে স্বপ্ন দেখিয়েছিল তার নিজের একটি জমি হবে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করবে। কিন্তু তাকে বিশ্বাস করে নিজের পৈতৃক ভিটেটি মাত্র ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা তুলে দিয়েছিল প্রতারক জাকিরের হাতে। কথা ছিল ৫ শতক জমি দিবে জাকির। ইচ্ছে ছিল সে জায়গায় একটি ঘর করে শান্তিতে বসবাস করবেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। জমি কিনে দেয়ার কথা বলে ওই টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক জাকির হোসেন । বর্তমানে সবজি ও পিঠা বিক্রি করে ভাড়া বাসায় থেকে দু’বেলা দুমুঠো খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন তিনি।
ওই পঞ্চাশোর্ধ কুদ্দুস শেখ (৬১) স্ত্রী ছটু বেগম এবং দশ বছরের এক পুত্র সন্তান নিয়ে কুদ্দুসের অভাবী সংসার। সবজি বিক্রি করে চলছে অভাব মেটানোর যুদ্ধ। এ ব্যবসায় স্ত্রী ছটু বেগমও তাকে সাহায্য করেন। বয়সের কাছে হার মেনে কুদ্দুস শেখ ক্রমশঃই শক্তিহীন হয়ে পড়ছেন। আর বিবর্ণ হয়ে পড়ছে তার দেখা স্বপ্ন। সবজি বিক্রি করে কোন রকমে কষ্টে সংসারের ঘানি টেনে নিলেও শেষ জীবনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে একটু নিরাপদে নিশ্চিন্তে থাকার আশ্রয় সুদূর পরাহত।
কান্না জড়িত কন্ঠে কুদ্দুস বলেন, “রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার শালিমারি গ্রামে বাবার একটুখানি জমি ছিলো। সেটা বিক্রি করে ২১ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করতে বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়ের চালিনগর গ্রামের জাকির হোসেনকে ওই টাকা দেই। তিনি আমাকে টাকাও দিচ্ছেন না, জমিও কিনে দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে নানা টালবাহানা করে সে।
প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কুদ্দুস শেখ তার শেষ সম্বল হারিয়েছেন। এক টুকরো নিজস্ব জমিতে তিনি তার স্বপ্নের বাড়ি করে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা করতে পারবেন কি-না তা একমাত্র সময়ই বলতে পারে।