গত ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ ইং, ২৪ পৌষ ১৪৩০ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরী রোজ সোমবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ ধারার দৈনিক বাংলা ৭১ অনলাইন পত্রিকার প্রথম পেইজে প্রকাশিত সুবর্নচরে বৃদ্ধ বাবাকে পেটালেন পালক মেয়ে নামীয় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন হাজী মোঃ আবদুর রহমান ৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান বিশেষ কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন আওয়ামী শ্রমিক লীগের একজন সদস্য এবং এলাকা ও সমাজের সর্বমহলের সম্মানীত ব্যক্তি হিসেবে বিগত ২০১৪ ইং সনে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হিসেবে নির্বাচন করি। স্থানীয় কিছু লোকজনের ইন্দনে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও হীনমানুষের বিদেশ থেকে আমার পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা হিসেবে ও আমার বাড়ি ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে ও টাকার বিনিময়ে সংবাদ প্রচার প্রচারনা করে আমার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মান্হানী করে। প্রকৃত বৃত্তান্ত এই যে, আমি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদকারী হাজী আবদুর রহমান প্রায় ২০-২২ বছর পূর্বে দক্ষিণ চরক্লার্ক এর নিবাসী মোঃ রুহুল আমিনের পালকমেয়ে নাহিদা আক্তার নাজমা বেগমকে বিবাহ করিয়া বিবাহের ০২ বছর পর সৌদি আরব প্রায় ০৭ বছর প্রবাস জীবন অতিবাহিত করি। তৎকালীন সময়ে মক্কাতে চাকুরী করার সুবাদে বড় হজ্ব সহ কয়েকবার ওমরা হজ্ব করি। আমি আমার শ্বশুর নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের রুহুল আমিন ও আমার শ্বাশুড়ী আয়েশা বেগমকে পিতা ও মাতামহ হিসেবে ০৭ বছরে আমার শ্বশুরের একাউন্টে (সোনালী ব্যাংক, সুবর্ণচর খাশের হাট শাখায়) ১০ লক্ষ টাকা পাঠাই। আমার টাকা পাঠানের সুবাদে এবং আমার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীর জন্য ব্যবহারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য পাঠানোতে উনারা খুশি হইয়া ওনাদের পালক মেয়ে অর্থাৎ আমার স্ত্রী নাহিদা আক্তার নাজমা বেগম এর নামে ৬০ শতাংশ ভূমি ওছিয়তনামা দলিল মূলে প্রদান করে। যাহার বুক নং-৩ (২১/০৯ইং) প্রদান করিলে উক্ত ওছিয়ত নামা ভূমিতে আমার স্ত্রীর কথামতে আমার পাঠানো টাকা দিয়ে আমার শ্বশুর উপস্থিত থাকিয়া ঘর বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে শুরু করি। আমি বিদেশ থেকে আসার পর আমার পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ী বলেন যে, তুমি আমাদের পুত্রের মতো, তাই আমরা তোমাকে ঠকাবো না। প্রয়োজনে আমাদের সম্পত্তি থেকে ১০০ ডিং সম্পত্তি তোমার নামে সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়া দিব বলে কালক্ষেপন করিতে থাকে। পত্রিকায় বর্ণিত ০৫ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আমি আমার মালিকানাধীন ঘরের পশ্চিম পাশ থেকে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি উঠিয়ে পুকুরের পাড় বাঁধানোর জন্য কাজ করিতে গেলে আমার শ্বশুর শ্বাশুরী সহ তাদের নিকটতম ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদেরকে মারধর করে ও আমাদের ঘর লুট করে। আমি স্থানীয়ভাবে সুরাহা না হওয়াতে বিগত ০৮/০১/২০২৪ ইং তারিখে ডি, আই,জি (পুলিশ), চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রাম বরাবরে একখানা অভিযোগ দায়ের করি। যাহার ডাক রেজিষ্ট্রি রশিদ নং-৬২৬, তারিখঃ ০৮/০১/২০২৪ ইং।
হাজী মোঃ আবদুর রহমান।