অনলাইন ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাইবার ক্রাইম ধারণার বাইরে বেড়ে যাচ্ছে। আমরা সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আমাদের একটা সাইবার ক্রাইম ইউনিট রয়েছে। যদিও এটি এখন ছোট আকারে রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটিকে বড় আকারে নিয়ে যাওয়া হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতিসম্প্রতি যে ধরনের উসকানি আসছিল, যেভাবে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে একটা ভায়োলেন্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, সেটাও কিন্তু আমাদের জনগণ ও পুলিশ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ করেছে। আমরা সেই জায়গা থেকে নিস্তার পেয়েছি। একটা বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারতো!
তিনি বলেন, আমরা সবাই ধর্মভীরু। আমরা যে যার ধর্ম হৃদয় দিয়ে পালন করি, সেখানে আঘাত এসেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে আমরা বের করে নিয়ে এসেছি। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, জনগণও তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।
পুলিশ ধীরে ধীরে জনতার পুলিশ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম সময়ে আমরা দেখেছি, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ছেলে তাদের মরদেহ ভয়ে নিয়ে যাচ্ছে না দাফনের জন্য৷ কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তখন এগিয়ে এসেছে। দায়িত্ব নিয়ে এসব মরদেহের দাফন সম্পন্ন করেছে। করোনায় ফ্রন্ট ফাইটার হিসেবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু পুলিশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ পুলিশ ধীরে ধীরে সেই জায়গাটিতে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কমিউনিটি পুলিশের আইডিয়াটাও একই রকম। কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটিকে সচেতন করে ঘটনা ঘটার আগেই তা রুখে দিতে পারে। সেজন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি। পৃথিবীর অনেক দেশই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পেয়েছে, আমরাও পাচ্ছি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, পৃথিবীর অনেক দেশ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পেয়েছে, আমাদের দেশেও তা পাচ্ছি। শান্তি রক্ষার জন্য তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না। ঘরে ঘরে যে জনগণ আছে তারা যদি তাৎক্ষণিক ইনফরমেশন দিতে পারে, তাহলে অনেক ঘটনা থেকেই আমরা বাঁচতে পারি, অনেক ঘটনা ঘটবে না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কমিউনিটি পুলিশের অনেক দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না। ঘরে যেসব জনসাধারণ আছেন, তারা যদি সচেতন থাকেন এবং রিয়েল টাইম পুলিশকে তথ্য দেন তাহলে অনেক ঘটনা ঘটবে না। অনেক ঘটনাই আমরা প্রতিরোধ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও লেখক প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।