নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ভাতড়া উত্তর পাড়া থেকে বান্নঘর গ্রামের সড়কটির
মসজিদ সংলগ্ন মৎস্য প্রজেক্টের পানি নিষ্কাশনের কারণে গার্ড ওয়াল’সহ
পুরো রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী প্রায় ৪ শ’
লোকের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মৎস্য
প্রজেক্টের মালিক সেলিম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভাতড়া গ্রামের
বজলুর রহমানের ছেলে সেলিম জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন মৎস্য প্রজেক্টের দক্ষিণ
পাড়ে ভাতড়া ও পাশ্ববর্তী বান্নাঘর গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা। গত ৫ বছর
পূর্বে স্থানীয়রা ৫ লাখ টাকা খরচ করে গার্ডওয়াল নির্মাণ করে। গত সোমবার
মৎস্য প্রজেক্টের মালিক সেলিম জাহাঙ্গীর তার মৎস্য প্রজেক্টের পানি নিষ্কাশনের
কারণে গার্ড ওয়াল’সহ রাস্তাটি পুকুরে বিলিন হয়ে যায়।
স্থানীয় আবু তাহের, আবুল হোসেন ও দায়েমছাতি সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আহছানুল কবির বলেন, দু’ গ্রামের মানুষের শত বছরের
পুরানো চলাচলের রাস্তাটি অ-সময়ে পানি সেচের কারণে ৫ লাখ টাকার গার্ড
ওয়াল’সহ সড়কটি বিলিন হয়ে গিয়েছে। ফলে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় পড়ুয়া
শিক্ষার্থী সহ স্থানীয়রা যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আমরা স্থানীয় জন
প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সড়কটি পুনঃ নির্মাণের সহযোগীতা
কামনা করছি।
অভিযুক্ত মৎস্য প্রজেক্টের মালিক সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আমার মৎস্য
প্রজেক্টের পানি দূষিত হওয়ায় কারণে আমার কয়েক লাখ টাকার মাছ মারা যায়, তাই
আমি পানি নিষ্কাশন করে ফেলি। যার ফলে আমার মৎস্য প্রজেক্টের পাড় ভেঙ্গে যায়।
যেহেতু আমার মৎস্য প্রজেক্টের পাড় দিয়ে কয়েক বাড়ির মানুষ চলাচল করে তাই
আমি তাদেরকে বলেছি ২ মাস পর পাড়টি পুনঃরায় মেরামত করে দিবো।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইউনুস ভূঁইয়া বলেন, রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায়
স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামত করা
প্রয়োজন।
মক্রবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা চৌধুরী মুকুল বলেন,
পানি নিষ্কাশনের ফলে সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবরে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেছি। সরকারি বরাদ্দ ফেলে রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মেহেবুব এর মোবাইল
ফোনে বারবার ফোন দিয়েও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।