নিহত শিশুর নাম মারিয়া আক্তার (৭), সে শেরপুর জেলার সদর থানার নলবাইদ এলাকার মোঃ মনজুরুল ইসলামের কন্যা। সে তার পিতা মাতার সাথে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আব্দুল হালিমের বাসায় ভাড়া থাকতো। সে স্থানীয় চান্দনা প্রতিভা মডেল একাডেমী স্কুলে নার্সারীতে পড়াশুনা করত।
গ্রেফতার আসামীর নাম জুয়েল (৩৯)। তিনি বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামের মো. আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি চান্দনা বৌ বাজারে হালিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তাকে গতকাল সোমবার রাতে ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান।
তিনি আরো জানান, গত ১৪ জানুয়ারি বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মারিয়া আক্তার বাসা থেকে উঠানে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা হলেও সে আর বাসায় ফিরে না আসায় তার মা-বাবা আশেপাশের ভাড়াটিয়া বাসাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। কিন্তু তার কোন সন্ধান পাননি। পরের দিন ১৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন তেলিপাড়া এলাকার হযরত আলী ড্রাইভারের মালিকানাধীন জমির ঝোপঝাড়ের ভেতর এক শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ খবর পেয়ে শিশুটির পিতা মাতা গিয়ে মরদেহ তাদের মেয়ে মারিয়ার বলে শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় মারিয়ার পিতা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন (সংশোধন-২০২০) এর ৭ তৎসহ ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) মোঃ খায়রুল আলমের নির্দেশনায় সহকারি পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সুরুজ্জামান ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ, স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ জুয়েলকে গ্রেফতার করেন।