পাহাড়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ এবং পার্বত্য এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কেক কাটার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয়। যা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ফলে ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই সৃষ্টি হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ উপলক্ষে রবিবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। আয়োজিত এই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পাহাড়ে দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ফসল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, ভূমি সমস্যার সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ এবং চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে চলছে। সাথে সাথে পার্বত্য অঞ্চলের দৃশ্যমান টেকসই উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। পার্বত্যবাসীর জীবনমানের যখনই দ্রুত উন্নতি ঘটছে তখনই একটি গোষ্ঠী বিচ্ছিন্নভাবে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার সূত্রপাত করার চেষ্টা করছে, যা পাহাড়ের মানুষদের কাছে কোন ভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রী সমস্যা সমাধানে আন্তরিক ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার মাধ্যমে একটি উন্নত সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মাণে সংশ্লিষ্ঠ সকলের প্রতি আহবান জানান। এসময় মন্ত্রী পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে দেশবাসীসহ পার্বত্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান।