বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা ও পরামর্শে আমরা পাটখাতের প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করতে পেরেছি। পরিবেশবান্ধব পাট জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আজ সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পাট দিবস উদযাপন ও পাটখাতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আমি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারীগণ, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনবৃন্দ এখাতের সমৃদ্ধিকে আরো বেগবান করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
যেকোনো প্রয়োজনে রপ্তানিকারকদের জন্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রণালয়ের দরজা খোলা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রপ্তানিকারকদের জন্যে আমরা বসে আছি, আপনাদের সমস্যা দূর করার জন্যে। আমরা ১০০ ভাগ চেষ্টা করব আপনাদের সমস্যা দূর করতে।
তিনি আরো বলেন, পাটের ব্যাগের ব্যবহার ঠিক মতো হচ্ছে না। পাটের ব্যাগ ব্যবহারে অভিযান আরো বেশি জোরদার করতে আমরা পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে পাটের জন্যে আমাদেরর বাজার অনেক বড়। পরিবেশ আন্দোলন আমাদের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ আন্দোলনে যেভাবে সহায়তা দিচ্ছে, সেখানে পাটকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আপনাদের যেতে হবে। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি দাবি করতে চাই পাটকে বহুমুখী কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হোক।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন