অনলাইন ডেস্ক:
আবারও তিন বছর পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের নাম বদল নিয়ে চর্চা হয়েছে। বলেছি, অনেক দিন হয়ে গিয়েছে। এবার মেহেরবানি করে ওটা করে দিন।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের অনেক বিষয় নিয়ে রেষারেষি চলছে। পুনরায় রাজ্যের নাম বদলের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। রাজ্যের নাম পরিবর্তন ছাড়া বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব তৈরির প্রসঙ্গও প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, বাংলা ভাষায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’-কে পশ্চিমবঙ্গ বলা হলেও সংবিধানের প্রথম তফসিলে রাজ্যের নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ই রয়েছে। তার অভিযোগ, দেশে সব রাজ্যের ডাক পড়লে এই রাজ্যের ডাক পড়ে শেষে। মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন, শোনার ধৈর্য কারো তেমন থাকে না।
এদিকে মোদি মমতাকে বলেন, অনেক রাজ্য বিধান পরিষদ তুলেও দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেকেও উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, ‘‘আমরা চাই রাজ্যগুলোর উপনির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হোক। এখন বাংলার কভিড পরিস্থিতি ভালো। তৃতীয় ঢেউ এলে নির্বাচন করানো যাবে না।’’
অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ হলে, বাংলাদেশের সঙ্গে নামের মিল তৈরি হবে। তিন বছর আগে, ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই বঙ্গ বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। পরে তা কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়। ২০১৯-এর জুলাইয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংসদে প্রশ্নের উত্তরে জানায়, ‘রাজ্যের নাম বদল করতে হলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এখনো সংবিধান সংশোধনের কোনো প্রস্তাব নেই।’
এর আগে ১৯৯৯ সালে প্রস্তাব এসেছিল ‘ক্যালকাটা’-কে ‘কলকাতা’ এবং পশ্চিমবঙ্গকে ‘বাংলা’ করার। প্রথমটা হলেও পরেরটা হয়নি। মমতার সরকার রাজ্যের নাম সব ভাষায়ই ‘পশ্চিমবঙ্গ’ করার জন্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের সাড়া মেলেনি।