অনলাইন ডেস্ক:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের বড় প্রদর্শনী ‘৯ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২১’-এর পর্দা উঠলো। আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৮ দিন ব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্যে রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
দেশের ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মো. হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালন করে এসএমই উদ্যোক্তারা। তাই এ খাতকে এগিয়ে নিতে প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের নীতিসহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।
এ জন্য সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘এসএমইর মাধ্যমে দেশের বিপুল কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিকে গতিলীর করা সম্ভব। উদ্যোক্তাবান্ধব শিল্পায়নের ফলে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এ জন্য রপ্তানিপণ্য বহুমুখী করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরিতে এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করছে। এই মেলায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। শিল্পখাতে স্বল্প বিনিয়োগ, কমখরচে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানব সম্পদের দ্রুত উন্নয়নের সুযোগ এবং কৃষি ও শিল্পের মধ্যে সেতুবন্ধন- এইসব বিশেষত্বের কারণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম।
বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের অবদান ও অংশগ্রহণকে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২১’ দেওয়া হয়। সেরা নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন হুমায়রা মোস্তফা, সেরা পুরুষ উদ্যোক্তা হয়েছেন দুইজন। তারা হলেন- নাজমুল ইসলাম এবং সৈয়দ মো. শোয়েব হাসান। এছাড়া বর্ষসেরা মাঝারি উদ্যোক্তা হয়েছেন মো. আজিজুল হক।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশ থেকে এবারের মেলায় ৩০০টি এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ৩২৫টি স্টলে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী ও ৪০ শতাংশ পুরুষ উদ্যোক্তা।
মেলায় দেশে উৎপাদিত লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, আইটি পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হারবাল/অর্গানিক পণ্য, হ্যান্ডিক্রাফট, ফ্যাশন ডিজাইন, জুয়েলারি আইটেমসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের স্বদেশি পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রয় হবে।
বরাবরের মতোই এ মেলার বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে- কোনো বিদেশি পণ্য এ মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রি করা হবে না। দেশীয় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের পাশাপাশি এ মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা মিটিং বুথ, রক্তদান কর্মসূচি, মিডিয়া সেন্টারসহ অনলাইন পণ্য মার্কেটিং বিষয়ক স্টল থাকবে। এছাড়া সরকারি সংস্থা বিসিক, বিএসইসি, বিসিআইসি, বিটাক ও বিএসটিআইয়ের পাশাপাশি স্পন্সর ব্র্যাক, অগ্রণী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের স্টল থাকবে।