আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে যাত্রী নিয়ে পদ্মা দিয়ে খুলনা যাবে ট্রেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল রবিবার ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ঢাকা থেকে খুলনা যাবে পরীক্ষামূলক শেষ ট্রেনটি। এ যাত্রা সফল হলে আসবে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর দিনক্ষণ ঘোষণা।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় আংশিক রেললাইন চালু হয়েছে আগেই।
এবার ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার যোগ হচ্ছে। এতে ঢাকা থেকে যশোরের ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথে সরাসরি যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন হলেও বর্তমান সরকার অরাজনৈতিক হওয়ায় এ নিয়ে তেমন পরিকল্পনা নেই সংশ্লিষ্টদের। স্বল্প পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে পারে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কমলাপুর থেকেই পদ্মা সেতু হয়ে যশোর দিয়ে খুলনাগামী নতুন একটি ট্রেনের ফিতা কেটে উদ্বোধন করতে পারেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
নতুন ট্রেনের নাম
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধনের এই রেলপথ দিয়ে খুলনা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। দুটি নতুন ট্রেন দিয়েই বাণিজ্যিক ট্রেনের উদ্বোধন করা হবে এই রেলপথের। এর মধ্যে দুটি ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘সুন্দরবন প্রভাতী’ ও ‘সুন্দরবন গোধূলি’।
এ ছাড়া পদ্মা রেল সেতু দিয়ে নতুন আট জোড়া ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব রুট হচ্ছে ঢাকা-যশোর-খুলনা, ঢাকা-যশোর-বেনাপোল, ঢাকা-ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ এবং ঢাকা-ফরিদপুর-দর্শনা।
বর্তমানে পদ্মা সেতু দিয়ে তিনটি আন্ত নগর ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোলগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ও রাজশাহীগামী মধুমতী এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস।
রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইঞ্জিন ও বগির সংকট থাকায় নতুন ট্রেন দেওয়া কঠিন। ফলে রুট রেশনালাইজেশন করে চাহিদা বিবেচনায় এসব রেলপথে ট্রেন চালানো হতে পারে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের জুনে আলাদা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন।