পদ্মা সেতুতে উঠতে ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করেছে। গত ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা নদীর ওপর সড়ক সেতুর উদ্বোধন হলেও অপেক্ষা ছিল রেলপথ চালুর। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২১ মিনিটে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম পদ্মা সেতুতে বিশেষ ট্রেনের এ যাত্রা শুরু হয়। বিশেষ এ ট্রেনের চালক হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন লোকো মাস্টার রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, যখন জানতে পারলাম যে আমি প্রথম ট্রেন চালাব, তখন থেকেই উচ্ছ্বাস কাজ করছে। ইতিহাসের অংশ হতে পেরে নিজেকে গর্বিত লাগছে।
বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। তখন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব হবে ১৬৯ কিলোমিটার। পাশাপাশি কুষ্টিয়া, দর্শনার সঙ্গেও কমবে দূরত্ব ও ভোগান্তি।
এ বিষয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, পুরো ৪২ কিলোমিটার পথে গ্যাংকার চালানোর পরিকল্পনা আছে।
অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশের বেশি। আর পুরো প্রকল্পকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতির ৭৪ ভাগ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৯২ ভাগ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অগ্রগতি ৬৮ ভাগ।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন