ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পঞ্চম রাতেও গুলি চলল। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের সেনা গুলি চালাতে শুরু করে। ভারত তার জবাব দিয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনোরকম উসকানি ছাড়াই পাকিস্তানের সেনা স্মল আর্মস ফায়ারিং শুরু করে।
পাকিস্তানে কী কী ওষুধ রপ্তানি করা হয়, এক্সপোর্ট কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে তার তালিকা চেয়েছে সরকার। জরুরি ভিত্তিতে তাদের এই তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
নিউজ১৮-র রিপোর্ট বলছে, ২১৯টি দেশের মধ্যে ভারত থেকে ওষুধ নেয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান ৩৮তম স্থানে আছে। ২০২৪ সালে ১৭ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ডলারের ওষুধ কিনেছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান এই ওষুধ সরাসরি কেনে না। ভারত থেকে আমিরাতে ওষুধ যায়। সেখান থেকে তারা এই ওষুধ কেনে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা মনে করেন, পাকিস্তানে ওষুধ বিক্রি বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের খুব একটা ক্ষতি হবে না। কিন্তু পাকিস্তানে তার প্রভাব পড়বে। তাদের অনেক বেশি দাম দিয়ে ওষুধ কিনতে হবে।
জাতিসংঘে ভারতীয় দূতের প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘে ভারতের সহকারী স্থায়ী প্রতিনিধি যোজনা প্যাটেল বলেছেন, ‘পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার দেশ গত এক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করে। এই স্বীকারোক্তিতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে তার এই কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তান একটি দুবৃত্ত রাষ্ট্র এবং তারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘গোটা বিশ্ব শুনেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কী বলেছেন। এই প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি থেকে বোঝা যাচ্ছে, তিনি পাকিস্তান আঞ্চলিক স্থিতি নষ্ট করতে চাইছে। বিশ্ব এখন চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না।’
তার অভিযোগ, ‘পাকিস্তান বিশ্বজুড়ে ভারত-বিরোধী মিথ্যা প্রচারে নেমেছে।’ ভিকটিমস অফ টেররিজম অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সূত্রঃ ডয়চে ভেলে