পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
সারা দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে টানা দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলা হলে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। স্কুলে প্রবেশের সময শিক্ষার্থীর মাস্ক আছে কি-না সেটি যাচাই, না থাকলে বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া এবং শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া শ্রেণীকক্ষের ভেতরেও সামাজিক দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার সকালে পঞ্চগড় জেলা শহরের বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হান্নান শেখ শিক্ষা নিকেতন, মালাদাম শিশু শিক্ষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। এছাড়া শহরের বাইরের স্কুল গুলোতে দেখা গেছে দলে দলে হাসি মাখা মুখে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে। অনেকেই মাঠে জড়ো হয়ে গল্প করছে। প্রত্যেকেরই মুখে ছিল খুশির ঝিলিক, অনেক দিন পর বন্ধু-সহপাঠীদের সাথে দেখা হবার আনন্দ।কথা হয় পঞ্চগড় সদরের হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শামীমা আক্তারের সঙ্গে। সে বলে, নতুন ভর্তি হবার পর আজই স্কুলে প্রথম দিন আমার। এর আগে বিভিন্ন কারণে স্কুলে আসলেও স্যারদের মুখোমুখি হওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন পরে হলেও আজকে সহপাঠীদের সাথে ক্লাস করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান ইশতিয়াক বলে, দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকায় অনেকটা পিছিয়ে গেছি। স্কুল খুলে দেয়া আমাদের জন্য আনন্দের। করোনা পরিস্থিতি যেন আর অবনতি না হয় এটাই কামনা করি। আমরা নিয়মতি ক্লাশ করতে চাই।শিক্ষকেরা বলছেন, প্রথম দিনেই শতভাগ মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সকল নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো। পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, সকল নির্দেশনা মেনে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেই জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান দেয়া হবে। অন্যদের সপ্তাহে একদিন করে।