লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, ওডেসার কৃষ্ণ সাগর বন্দর ও খেরসনের দক্ষিণ অঞ্চলে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। সম্মেলনে মস্কোর নিরাপত্তা হুমকি বিষয়সূচিতে ছিল।
কিয়েভ ও ওডেসায় রাতের ড্রোন হামলায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলীয় সোফিভকা গ্রামে এক নারী নিহত ও খেরসন শহরে দুজন আহত হয়েছে বলে খেরসনের গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিন জানিয়েছেন।
এ সময় একদিকে ইউক্রেনজুড়ে বিমান সতর্কতা জারি করা হয়, অন্যদিকে ন্যাটো নেতারা একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য জড়ো হচ্ছিলেন। ক্রেমলিন ন্যাটো সম্মেলনের সমালোচনা করেছে। এ ছাড়াও সতর্ক করে বলেছে, মস্কো তার নিজের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানাবে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো লিখেছেন, ‘শত্রু এই মাসে দ্বিতীয়বারের মতো আকাশপথে কিয়েভে আক্রমণ করেছে।
বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাতে রাশিয়ার ২৮টি কামিকাজে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ২৬টি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পড়ে কিয়েভ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
এ ছাড়াও ওডেসা বন্দরের একটি প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বন্দরের কাছে একটি শস্য টার্মিনালে আগুন লাগলে দ্রুত তা নিভিয়ে ফেলা হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে প্রোকুদিন বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান শহর, যাকে খেরসনও বলা হয়, সেই অঞ্চলের একটি দখলকৃত অংশে অবস্থিত রাশিয়ান সেনারা গোলাবর্ষণ করছে।
তিনি বলেন, একটি অনির্দিষ্ট মানবিক সদর দপ্তর ও পাঁচটি আবাসিক ভবনে ক্ষতি হয়েছে এবং দুজন আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে ভিলনিয়াস শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা বলেছেন, ইউক্রেন সদস্য পদ চাওয়ায় একটি ‘ইতিবাচক বার্তা’ পাবে। মস্কো ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের একটি কারণ হিসেবে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণকে উল্লেখ করেছে।