মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধিঃ
সাদা সবুজ নাকি হলুদ কার আগে কে যাবে চলে সেই প্রতিযোগিতা। মধুমতি নদীতে থই থই জলে ছন্দময় শব্দে ঢাক ঢোল পিটিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দেখা মিললো এমন দৃশ্য। নেচে গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দিতে প্রাণপণ চেষ্টা প্রতিযোগিদের। মাঝি মাল্লাদের হই হই রবে নেচে ওঠে মধুমতি নদীর দুই তীর। এ মেলায় মাগুরাসহ আস-পাশের জেলা থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ দর্শনার্থীদে আগমন ঘটে। উপস্থিত দর্শনার্থীরা নৌকা বাইচ দেখে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীতে শেখ হাসিনা সেতুর এলাকায় বিহারী লাল শিকদার স্মরণে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে প্রতি বছরের মত সকাল থেকে নানান বয়সের নারী পুরুষ ও শিশুরা নদী পাড়ে জড়ো হতে শুরু করে। নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দু-পাড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।
প্রতিযোগিতায় মাগুরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, রাজবাড়ি, পাবনা ও ফরিদপুর থেকে বাহারি রঙের ও সাঁজের ২৮ টি নৌকা বাইচে নৌকা অংশ নেয়।
নৌকা বাইচ উপলক্ষে নদীর দুপাড়ে পাড়ে বসে গ্রামীন মেলা। যেখানে শিশুদের জন্যে নাগর দোলাসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের আরও বিভিন্ন রকম বিনোদনের আয়োজন করা হয়।
কাঙ্খিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগের প্রতীক্ষা। সব অপেক্ষা-প্রতীক্ষা শেষে বেলা তিনটার সময় কাঙ্খিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
ঘঁণ্টার টং টং আওয়াজের তালে তালে বাইচাররা বইঠা টানছেন হেলেদুলে। অন্যরকম উপভোগ্য আর আবহ তৈরি হয় নদীবক্ষে। ঐতিহ্যবাহী ও মনোমুগ্ধকর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দু’চোখ ভরে উপভোগ করে সবশ্রেণি পেশার মানুষ।
আয়োজক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার। অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আব্দুলাহেল কাফী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেবি নাজনীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার বাংলাদেশ টুডেকে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান যুবসমাজকে সঠিক পথে ধরে রাখতে। এজন্য তিনি খেলাধুলার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশে খেলাধুলার যেমন চর্চা হচ্ছে, তেমনি সফলতাও আসছে।