নোয়াখালী প্রতিনিধি ঃ নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে (৩০) শ্লীলতাহানি ও পিটিয়ে আহত করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে গত ১৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউনুছের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কালাদরাপ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউনুছের বাড়ির সীমানা নিয়ে পার্শ্ববর্তী সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। গত ১৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে নিজেই সাহাব উদ্দিনের সীমানায় থাকা টিনের বেড়া সরিয়ে ফেলা শুরু করেন।
ভুক্তভোগী আরও জানায়, ওই সময় বাড়িতে পুরুষ না থাকায় গৃহবধূ টিনের বেড়া সরাতে বাধা দিলে নুর হোসেন অকথ্যগ ভাষায় গালিগালাজ করে গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকার শুনে দেবর গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন বলেন, আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বার আবু তাহেরের নির্দেশে সাহার উদ্দিনের সীমানার টিনের বেড়া নির্ধারণ করতে যাই। ইউনুছের স্ত্রী আমাকে বাধা দেয়। তাই আমি তাকে সরাতে টিনে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছি।
এ বিষয়ে ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, চেয়ারম্যা নের নির্দেশে আমি চৌকিদারকে সীমানা বুঝিয়ে দিতে বলি। সে ওই নারীকে কেন মেরেছে জানি না। আমি তাকে মারতে বলিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে কালাদরাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্ল্যাত সেলিম সাংবাদিকদেরকে বলেন, এটা জায়গা-জমির ঝামেলা। গ্রাম পুলিশ কোনো অন্যাযয় করলে দায়ভার তার। আমার কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে এটা নিয়ে এলাকায় কয়েক বার বসা হয়েছে। কিন্তু ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় গ্রাম পুলিশকে আটক করে পুলিশ।