নোয়াখালী ব্যুরো ঃ প্রবাসী স্ত্রীর সাথে প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে অনৈতিক কাজ ধরা পড়ায় হাতে নাতে আটক করে। সামজিক সালিশী ব্যবস্থা নেওয়ায় পূর্বের শত্রুতার জের ধরে ভাসুরের জামাতা লুৎফুর রহমান (৪০) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আগাত করলে নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। অভিযুক্তরা এ সময় স¦র্ণ অলংঙ্কার ছিনিয়ে নেওয়া সহ বাড়ির বাউন্ডারী গেইট ভাংচুর করেন। আনুমানিক ৮০-৯০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী সদর সোনাপুর তাজ মহাতাবপুর গ্রামে।
জানা যায়, মুন্নীর স্বামী দীর্ঘদিন সৌদি প্রবাসে চাকুরিন করেন। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে মুন্নী বেপরোয়া চলা ফিরা যত্র-তত্র বাড়িতে রাত দিন খারাপ শ্রেনীর লোকজন আসা যাওয়া। তার সন্তানের প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে অবাধে মিলা মেশা-অনৈতিক কাজে হাতে নাতে ধরে আটক করে অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাবলু সামজিক ভাবে সালিশ করেন। সামাজিক গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ প্রবাসীর স্ত্রী মুন্নী আচার আচরন, চলা ফিরা সন্দেহ জনক প্রতিয়মান হওয়ায় উপস্থিত সালিশদার বৃন্দ মুন্নীকে এহেনও অণৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেন এবং শেষ বারের মত সর্তক করেন। তার পর হতে মুন্নী ৬-৭ মাস পিত্রালয়ে ছিল।
ঘটনার পূর্বদিন তার পত্রিালয় হতে মুন্নী স্বামীর বাড়িতে আসেন। মুন্নীর ভাসুর সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী জরিনা খাতুন (৪৮) এর সাথে দেখা হলে ভাসুর সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী জরিনা খাতুন দেবর সুমনের স্ত্রী মুন্নীকে বলেন, প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে ঘটনা ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে মিশ্রন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ও এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠে। এতে বাড়ির ও পরিবারের ভাবমুক্তি ক্ষর্ভ হয়েছে হচ্ছে। এই ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করে মুন্নী এক পর্যায়ে বিরক্তবোধ করেন। তিনি মনে করেন, গৃহ প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে মুন্নীর অনৈতিক সম্পর্ক সামাজিক লোকজনকে ভাসুর সাহাব উদ্দিনের পরিবার অবগত করেছেন বলে ধারনা করেন।
তারই জের ধরে প্রবাসী সুমনের স্ত্রী মুন্নী গত ২৩/০৮/২০২০ দুপুর ১২.৩০ ঘটিকা ভাসুর সাহাব উদ্দিনের বসত ঘরের সামনে মুন্নী, রুবেল, কাজল, শান্তা ও অজ্ঞাত কয়েকজন ভাসুরের স্ত্রীর জরিনা খাতুনকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করতে থাকে এবং অতর্কিতভাবে হামলা ও মারধোর শুরু করেন।
মুন্নীর ভাই রুবেলের হাতে থাকা ধারালো দাঁ দিয়ে ভাসুর সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী জরিনা খাতুনের মাথায় কোপ মারিলে লুৎফুর রহমান (৪৮) (সাহাব উদ্দিনের জামাতা ) দৌড়াইয়া আসিয়া দাঁ ফেরাতে গিয়ে তার হাতে কোপ পড়ে হাঁড় ভাঙ্গা রক্তাত্ত্ব জখম হয়।
অপরাপর অভিযুক্তরা জরিনা খাতুনকে এলো পাতার মারিয়া মাটিতে লুটাই ফেলে, জরিনা খাতুনের জামা কাপড় টানা হেঁছড়া করে শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। তার গলায় থাকা স্বর্ণে চেইন চিনিয়ে নেয়। জরিনা খাতুনের শৌ চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন আসতে থাকিলে অভিযুক্তরা যাওয়ার পথে ভাসুর সাহাব উদ্দিনের বাড়ির ভাউন্ডারি ও গেইট ভাংচুর করে ৮০-৯০ হাজার টাকা ক্ষকি সাধন করেন।
উপস্থিত লোকজন জখমী লুৎফুর রহমান (৪০) স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতাল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়।
এই ঘটনায় জরিনা খাতুন বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৯ তারিখ ২৪/০৮/২০২০।
প্রবাসী স্ত্রী মুন্নীকে এ ঘাটনার ব্যপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ভিন্নমত পোষণ করেন। সাহাব উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করছেন বলে জানান।
এ ব্যপারে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন এবং উভয়পক্ষ মামলা করেছেন বলে জানান।