নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ‘নৌকার লোক’ বলে কটাক্ষের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা হোসেনকে (৩১) মারধর ও গুলির অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। হোসেন বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। নির্যাতনের শিকার হোসেন চরজব্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি ও একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্যাতনের শিকার মো. হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল চেউয়াখালী বাজারে এলে কিশোর গ্যাং লিডার রাশেদ ও তার সহযোগীরা আমাকে ‘ওই নৌকার লোক আইছে‘ বলে কটাক্ষ করে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে সবাই মিলে মারধর করে এবং নৌকার বিরোধিতা করে বহিষ্কার হওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুককে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। তিনি আমাকে গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে আমার পায়ে গুলি করা হয় এবং আমাকে নির্যাতন করা হয়। মো. হোসেন অভিযোগ করে আরও বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে আমি নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের পক্ষে ভোটের প্রচারণা করি। এ নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন। তাই আমাকে অমানুষিক নির্যাতনের পর চেয়ারম্যান চৌকিদার দিয়ে একটি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে পাঠায়। আমি কিশোর গ্যাং লিডার রাশেদ ও চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
জানা যায়, অভিযুক্ত ওমর ফারুক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোট করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন থেকে চরজব্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় চুরি হচ্ছে। গত শুক্রবার ভূঁইয়ার হাটের একটি দোকানে চুরি হয়। স্থানীয় লোকজন চোর সন্দেহে হোসেনকে আটকে রেখে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি হোসেনকে উদ্ধার করে চৌকিদারকে দিয়ে নিয়ে হাসপাতালে পাঠাই।
চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ বলেন, এ বিষয়ে কেউ এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।