নোয়াখালী থেকে আব্দুল বাসেদ :নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা নিয়ে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে পৌর আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি মেয়র প্রার্থী ভাইয়ের পক্ষে ডিসি অফিসের কর্মচারীদের প্রচারণাকে ইঙ্গিত করেছে নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে আ.লীগের নেতৃবৃন্দ।
নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম ও পৌর আ.লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।
বক্তারা বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে কালো টাকা বিতরণ হচ্ছে, নৌকাকে হারানোর জন্য সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করছে একটি পক্ষ। নৌকা যাদের পরিচয় তারা নৌকার সঙ্গে বেইমানী করলেও সাধারণ মানুষ কোন বেইমানী করবে না। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বিগত সাড়ে ৫ বছরে যে উন্নয়ন করেছে সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে তার প্রতিদান দিবে বলেও আশা করেন তারা।
নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মোবাইল প্রতীক নিয়ে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন লুৎফুল হায়দার লেলিন। তার বড় ভাই বরিশাল জেলা প্রশাসক। গত ১০ জানুয়ারি লেলিনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয় বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী। এ ঘটনায় সমালোচনা শুরু হলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আগামী ১৬ জানুয়ারী নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল। এছাড়া স্বতন্ত্র (আ.লীগের বিদ্রোহী) লুৎফুল হায়দার লেলিন মোবাইল ও বিএনপি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরন কম্পিউটার, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের নারিকেল গাছ প্রতীকসহ মেয়র পদে ৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।