নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী নোভেল কোভিড হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে এতে পরিবেশ বিশাক্ত হয়ে রোগ জীবানু ছড়াচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, সারি সারি ড্রাম। সেই ড্রামে ফেলার কথা করোনা হাসপাতালের বর্জ্য। কিন্তু বর্জ্য ড্রামে ফেলার পাশাপাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকছে আশপাশের খোলা জায়গায়। সেসব বর্জ্যে মুখ দিচ্ছে কুকুর-গরু। এমন চিত্র দেখা গেছে নোয়াখালীর কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে।সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের সামনে খোলা আকাশের নিচে বর্জ্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এসব বর্জ্যের মধ্যে গ্লোভস, মাস্ক, বিছানার চাদর, সিরিঞ্জ, পানির বোতল, রোগীর পোশাক ও নানান প্লাস্টিক সামগ্রী রয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একে অপরকে দুষছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নোয়াখালী পৌরসভা।পৌরসভার মেয়র বলছেন, বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব হাসপাতালেরই। আর হাসপাতাল বলছে, কাজটি নোয়াখালী পৌরসভা করবে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও সেবাদানকারী সংস্থার মধ্যে এই রশি টানাটানির মধ্যে নোয়াখালীর সদর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে। নোয়াখালী জেলার মধ্যে সদর উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি।সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৪৯৪ নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালী সদরে শনাক্ত হয়েছে ৫৫ জনের। জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা গেছেন ২৭ জন। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সমাধান না হলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্ল্যাহ খান সোহেল বলেন, হাসপাতালের বর্জ্যগুলো কর্তৃপক্ষ অপসারণ করবে। পৌরসভা থেকে অপসারণের কোনো নিয়ম নেই। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, হাসপাতালের বর্জ্যগুলো পৌরসভা নেওয়ার কথা। আমি বিষয়টি দেখছি।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, নোয়াখালী জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালীর ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালকে ৮০ শয্যা থেকে ১১০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। আমাদের জেলা কোভিড হাসপাতালে আরও দুটি আইসিইউ বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন থেকে কোভিড রোগীরা ছয়টি আইসিইউ সেবা পাবে।