নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বীর বিক্রম পরিচয় দেয়ার পরও চিকিৎসা সেবায় অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক (৮০) বীর বিক্রমকে রবিবার দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষার জন্য পৌনে একটার দিকে প্যাথলজি বিভাগে গেলে সংশ্লিষ্ট ইনচার্জ দুপুর ১২টার মধ্যে নমুনা সংগ্রহের সময় শেষ বলে জানিয়ে দেন।
বীর বিক্রম আবদুল মালেক নোয়াখালীর সদর উপজেলার এজবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আবদুল মালেক বীর বিক্রমের ছেলে মো. আবদুল জলিল জানান, ডাক্তার কিছু পরীক্ষা দিলে ল্যাবরেটরির ইনচার্জ মো. আলী জুয়েলের কাছে যাই।
সেখানে বাবার পরিচয় দিলে তিনি বলেন, আমাকে হাইকোর্ট দেখাবেন না; ১২টায় প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ আর কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে না। পরবর্তীতে আবার আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে গেলে তিনি ইমার্জেন্সি লিখে দিলে তারপর তিনি নমুনা সংগ্রহ করেন।
‘কিন্তু ফলাফল আজ রবিবার দেবেন না বলে জানান। আগামীকাল ফলাফল পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে বাবার শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। ’
অভিযোগের বিষয়ে প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ইনচার্জ মো. আলী জুয়েল বলেন, ‘আমাদের নমুনা সংগ্রহের শেষ সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তিনি একটার পর নমুনা দিতে এসেছেন।
তার আরেকটা পরীক্ষা থাকায় আমি তাকে আগামীকাল আসতে বলেছি। পরবর্তীতে দেড়টার দিকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। তারপর শুনলাম তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। ’নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। আগামীকাল তাকে লিখিতভাবে শোকজ করব। পুরো বিষয়টি নিয়ে আরএমও, এডি সাহেবসহ আমরা সর্বোচ্চব্যবস্থা নিব।