নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিলে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়েছেন মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার (০৭ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার ৪ নং বদলকোট ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডের উওর মানিকপুর গ্রামের হূমায়নের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার ৪ নং বদলকোট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উওর মানিকপুর গ্রামের হূমায়নের নতুন বাড়ির হুমায়ন কবির (৪৮) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৫)।
ভুক্তভোগী হুমায়ন কবির জানান, চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার খিরিহর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ওমান প্রবাসী আকরাম হোসেন। সে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৬মাস আগে লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাট্রা ইউনিয়নের বাক্সপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে সাথী আক্তারকে (১৯) মুঠোফোনে বিয়ে করে। ওই মেয়ে হাজীগঞ্জের একটি মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী ছিল। করোনাকালীন মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেলে সে বাড়িতে আসে। প্রেম করে বিয়ে করার কারণে বাড়িতে আসলে তার মা-বাবা তাকে বাড়িতে জায়গা দেয়নি। এরপর সে শ্বশুর বাড়িতে গেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিয়ে মেনে না নিয়ে তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর আহত হুমায়ন কবির (মামা শ্বশুর) খবর পেয়ে ভাগ্নে বউ সাথী আক্তারকে দেড় মাস আগে তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাথী আক্তারের বড় বোন গত রোববার রাতে হুমায়ন কবিরকে মোবাইলে হুমকি দেয়। হুমায়ন কবিরের দাবি, সাথীর বড় বোনই সন্ত্রাসী পাঠিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
হুমায়ন কবির আরও জানান, ভোর ৪টার দিকে ১০-১২জন অস্ত্রধারী মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসী প্রশাসনের লোক পরিচয়ে তার ঘরের দরজা খুলে। এরপর ৭জন অস্ত্রধারী ঘরে প্রবেশ করে খাটের ওপর উঠে আমাকে কোপাতে থাকে। এ সময় আমার স্ত্রী শেফালী বেগম আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও এলাপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় হুমায়ন কবির রড নিয়ে প্রতিহত করতে গেলে হামলাকারী নিজেদেরকে পুলিশ প্রশাসনের লোকবলে একজনকে গুলির নির্দেশ দিলে তিনি ভয়ে রড পেলে দেন। এরপর সন্ত্রাসী চলে গেলে স্থানীয়রা তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।