মধ্য নোয়াখালীর চাটখিলে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে গৃহ শিক্ষককের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষক ফারাবী আহম্মেদ ফয়েজ (২৫) উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের রুহুল আমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষককে উপজেলার পরকোট ইউনিয়ন থেকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে নারীও শিশু দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,গৃহ শিক্ষক ফারাবী গত দুই বছর যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত কিছু দিন আগে তাদেরকে এলাকাবাসী আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে গ্রাম্য শালিসে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে করার শর্তে অভিযুক্ত ফারাবীকে কৌশলে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তার বাবা। পরবর্তীতে ফারাবীর বাবা জানায় যত টাকা যাবে। তবে এই মেয়েকে তার ছেলেকে বিয়ে করােেনা হবেনা। এরপর অসহায় পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে তাৎক্ষণিক মাঠে নামে পুলিশ। আটককৃত আসামীকে নারীও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরের দিকে নোয়াখালীর চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।