নোয়াখালী প্রতিনিধি; : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়া ও সকল নেপথ্যের পরিকল্পনাকারীদের বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় জেলা শহর মাইজদীর আবদুল মালেক উকিল প্রধান সড়কে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
ঘন্টাব্যাপী শহরের পৌর বাজার এলাকা থেকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে পাঁচ সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের কমান্ডার মো. কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির হিরো, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জামান উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমাস খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিউল ইসলাম দুলাল ও ইন্দ্র ভূষণ সেন কান্তি। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, একাত্তর এবং পঁচাত্তরের খুনি চক্র আর আজকের বাংলাদেশের যারা উন্নয়ন চাইনা, তারা হাওয়া ভবন থেকে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আব্দুস সালাম পিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পরিকল্পনা করে গ্রেনেড হামলার মতো নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই হামলায় যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক গ্রেনেড, যেটা সামরিক বাহিনীর কাছে থাকে। পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ওই গ্রেনেড ইনপোর্ট করে আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে হত্যা করার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ওই নারকীয় কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সেদিন আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি বেঁচে গেলেও তাঁর প্রধান দেহরক্ষী মাহবুব গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন। আহত হন শত শত নেতাকর্মী। পরবর্তীতে আহতদের মধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ অনেকেই শহীদ হয়েছেন।
গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়াসহ সকল নেপথ্যের পরিকল্পনাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আজকে সময় এসেছে। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তারেক জিয়া-খালেদা জিয়ার উত্তরসূরীরা যে নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা দিয়ে যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তাদেরও বিচার দাবি করেন শাহীন।
এরআগে সকাল থেকে জেলা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা।