নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে রাজনীতিতে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালশী বালুর মাঠে কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এ সময় ঢাকায় বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিদের ফ্ল্যাট করে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, উর্দুভাষীদের জন্য উন্নতমানের ফ্ল্যাট নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি। সুন্দরভাবে যাতে এই অবাঙালিরা বসবাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দেবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের সুবিধার দিকে লক্ষ্য করেই পরিকল্পনা করি। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করে দেই। বিভক্তির পর দুই সিটিতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নানা উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। উত্তরেও করে দেবো। উর্দুভাষীদের জন্যও হবে। একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।
জায়গা পেলেই অনেকে ভবন নির্মাণ করেন। এর সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের কিছু লোক আছে, একটু জায়গা খালি পেলেই ভবন নির্মাণ করতে আসে। এই যে কালশী বালুর মাঠ, এটা বিনোদন পার্ক হবে। এখানে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার ব্যবস্থা হবে। শিশুদের জন্য হবে পার্ক। যুবদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাটার ব্যবস্থাও রাখা হবে। তবে এই মাঠ যেন মাঠ থাকে।
বিশ্বব্যাংক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যমুনা নদীর ওপর সেতু করতে যাই। তখন রেলসেতুও সংযুক্ত করতে চাই। বাধা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তারা বলেছিল, সেটা লাভজনক হবে না। এখন আবার বিশ্বব্যাংকই ফিরে এসেছে, যমুনা নদীতে রেলসেতু করতে। আমি অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের। কোথায় কী হবে, হবে না। কী লাগবে, লাগবে না। এটা আমরাই ভালো বুঝি। এই ধারণাটা আমাদের থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মীরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর কালশী বালুর মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন তিনি।
এত দিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না করায় ফ্লাইওভার বন্ধ ছিল। তবে নিচের প্রশস্ত রাস্তা চালু করায় তার সুফল পাচ্ছিল মিরপুরের বাসিন্দারা। সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় যানজট হচ্ছে না। ফ্লাইওভারেও ভালো সুফলের আশা করছে মিরপুরবাসীসহ সড়ক ব্যবহারকারীরা।