অনলাইন ডেস্ক:
না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট একুশের গানের রচিয়তা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মুজাম্মিল আলী।
দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মারা যান তাঁর মেয়ে বিনীতা চৌধুরী। এর পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
বর্তমানে বার্নেট হাসপাতালেই গাফফার চৌধুরীর মরদেহ রাখা আছে। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ মুজাম্মিল আলী। তার মহাপ্রয়াণে যুক্তরাজ্যজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা. মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনেরা হলেন- মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর লন্ডনেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটকও লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফ্ফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেসকো পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরো অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।
মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন