ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে স্বামী-সতীনের বিরুদ্ধে সাফিয়া আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।।
এদিকে সাফিয়া আক্তারের মৃত্যুর পর স্বামী-সতীনসহ শ্বশুর বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে৷
শুক্রবার ( ১১ জুন) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে সাফিয়াকে মারধোর করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন৷
সাফিয়া নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামের দরগা বাড়ির জিল্লু মিয়ার মেয়ে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত শেয়ার আলী ছেলে জাহেদ মিয়া প্রেম করে সাফিয়াকে বিয়ে করেন। সাফিয়া ছিল জাহেদ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে তিনি সুফিয়া নামের আর একজনকে বিয়ে করেছিল। ওই স্ত্রীর তিন সন্তান ছিল। সাফিয়ারও ২ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
সাফিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা দাবিতে তার চাচা জজ মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকে সাফিয়া সাংসারিক ভাবে সুখি ছিল না৷ প্রেম করে বিয়ে করা ও তাদের সংসারে ৩ সন্তান থাকায় নানান কষ্ট সহ্য করেও জাহেদের সংসার করেন৷ গতকাল রাতে জাহেদ ও তার প্রথম স্ত্রী সুফিয়াকে সাথে নিয়ে রাতভর মারধোর করেন৷ সাফিয়াকে। পরে সাফিয়াকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখেন তারা৷ হত্যার পর বাড়ি থেকে জাহেদের স্ত্রীসহ তার ভাইরা পালিয়ে যায়। পরে সকালে চাপরতলা শ্বশুর বাড়ি থেকে সাফিয়ার ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক জানান, আজ সকালে সাফিয়া নামের এক গৃহবধূর ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শশয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সাফিয়ার মৃত্যুটি রহস্যজনক। হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানতে পারবো।।