ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে স্বামীর বিরুদ্ধে হালিমা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।।
এদিকে হালিমা আক্তারের মৃত্যুর পর স্বামী-শ্বাশড়িসহ সবাই পালিয়েছে৷
বৃহস্পতিবার ( ১৭ জুন) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বেরুইন এলাকার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় হালিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন৷
হালিমা নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বেরুইন গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আব্দুল হালিমের মেয়ে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মকবুলের ছেলে আলামীন পারিবারিক ভাবে হালিমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে ১বছরের একটি মেয়ে সন্তান হয়। গতকাল আলামীনের শোবার ঘর থেকে হালিমার লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।
নিহত হালিমার ফুফা মো. জয়নাল মিয়া জানান, বিয়ের পর যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় হালিমা সাংসারিক ভাবে সুখি ছিল না৷ যৌতুকের টাকার জন্য প্রায়ই ঝগড়া হতো। তাদের ঘরে একটি মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় নানান কষ্ট সহ্য করেও আলামীনের সংসার করেন৷ গতকাল বিকেলে আলামীন সাথে যৌতুকের টাকা আবার হামিলার ঝগড়া হয়। পরে তাকে আলামীন ও শ্বাশুড়ি মিলে হালিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন৷ হত্যার পর বাড়ি থেকে আলামীনসহ সবাই পালিয়ে যায়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, আজ সকালে হালিমা নামের এক গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অনুমান করা যাচ্ছে গৃহবধূ ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা করেছে। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানতে পারবো।।