মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারীর ক্ষমাতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশে নারীর কর্মসংস্থান, উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমতা অর্জন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে চীন ভ্রমণ করেন এবং জাতির পিতার লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইয়ে সে সময়ের চীনের উন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা চীনের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে নারীর কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ এবং নতুন প্রকল্পে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আইসিটিতে নারীর অংশগ্রহণ ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করেছে। সরকারের এই লক্ষমাত্রা অর্জনে চীনের সহায়তা ও অংশীদারিত্ব কামনা করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিশুর উন্নয়নে একসাথে কাজ করে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।