অনলাইন ডেস্ক:
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো ডাকবাক্সের আদলে নির্মিত ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নান্দনিক এই ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে নতুন ডাকটিকিটও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিওভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেক সভায় ডাক ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পৌনে এক একর জায়গার ওপর ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাক বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।
ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ভবন উদ্বোধনে ডাক অধিদপ্তরের জন্য ঐতিহাসিক এই ক্ষণটি স্মরণীয় রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে।